রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৮

উপজেলা প্রতিনিধি, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৮

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে দু’পক্ষ এই সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয়।


বিজ্ঞাপন


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহর মধ্যে। বাকবিতণ্ডার জেরে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পরে সিএনজিযোগে আনোয়ারের অনুসারীরা পশ্চিম সোনাই গ্রামে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করার উদ্দেশে যাচ্ছে এমন সংবাদে সোনাই গ্রামে মসজিদে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা শুনে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে পালটা ধাওয়া দেয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তারা।

শহীদ জাকির হোসেন সড়কের ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদার জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়া ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কারণে পালিয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কার্পেটিংয়ের কাজের জন্য উপজেলা থেকে সমন্বয় করে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন কংক্রিট সরবরাহ করে। অপরপক্ষ আহসানুল্লাহ নিম্নমানের কংক্রিট দিচ্ছে অভিযোগ করেন। এরই জেরে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নুরুন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসানুল্লাহ, সোহাগ, ইমাম, হাসানসহ ৮ জন আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন

লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন জানান, কয়লা জাকির হোসেন সড়কের কাজ ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার জাহাঙ্গীর কবির পালিয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় আনোয়ার, সোহাগসহ কয়েকজনের অনুরোধে ইউএনও এবং এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা পুনরায় কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হলেও তারা না জানায় আনোয়ার, সোহাগ এবং কাজের মাঝি আহসান উল্লার সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের জন্য বসব।


বিজ্ঞাপন


যোগাযোগ করা হলে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, এই ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুনেছি উভয় পক্ষ ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর