অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিনে রংপুর নগরীসহ এ বিভাগ থেকে ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। এর মধ্যে নগরীতে ৫ জন ও রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহানগরের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) ড. আশিক মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর কোতোয়ালি থানা থেকে দু’জন এবং তাজহাট থানা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রংপুর নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আলিফ, কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ সদস্য হৃদয় হোসেন, মুন্না ইসলাম, মেহেদী হাসান এবং ছিনতাইয়ের দায়ে অভিযুক্ত রিমন শেখ।
এছাড়াও রংপুর রেঞ্জের আট জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি বড়বাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা সাজিদুর রহমান সাজিদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব আলম বুধ আলম, একই উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, রুহিয়া থানার রাজাগাও ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য তাহেরুল ইসলাম, রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম, সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুনাথপুরের ছাত্রলীগ নেতা হৃত্তিক রোশন রাব্বী, সাগর আলী, মেহেদী হাসান, পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুর হোসেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সরকার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সদস্য মিন্টু শেখ, কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খবির উদ্দিন, নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহফুজুর রহমান মুকুল, রৌমারীর চর শৌলমারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মকবুল হোসেন মোঘল, উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রুবেল, সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মনজুরুল ইসলাম, মজিদা কলেজ ছাত্রলীগ সদস্য আবু সাঈদ বকসি এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, নীলফামারীর ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি এলাকার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
অন্যদিকে অপারেশনের প্রথম দিন মহানগর ও রংপুর বিভাগের গ্রেফতার ছিল ১৯ জন। গ্রেফতার ব্যক্তিরা সবাই আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে, তবে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার ব্যক্তিদের নাম জানায়নি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

