বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে যুবদল নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টা মানববন্ধনও আয়োজন করা হয় যুবদল নেতার পক্ষে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টা এবং বিকেল ৪ টার দিকে শহরের শেরপুর রোডের কানুছগাড়ি এলাকায় পক্ষে বিপক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক উপদেষ্টা জোবায়ের হাসান জানান, দেড় বছর আগে বণিক সমিতির কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে আগামী বুধবার সভা আহ্বান করা হয়েছে। রোববার বিকেলে ব্যবসায়ীদের অবহিত করতে তাদের দোকানে চিঠি দেয়া হয়।
এ সময় যুবদল নেতা কামরুল হাসান ঝিনুক ও তার বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন কাঞ্চন ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কালামের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধর করেন। জোবায়ের হাসান বলেন, ঝিনুক ও তার ভাই কাঞ্চন কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। কাঞ্চনকে না জানিয়ে বণিক সমিতির সভা আহ্বান করায় ঝিনুক ও তার ভাই ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালান। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ঝিনুক ও কাঞ্চন ব্যবসায়ীদের মারধর করার ঘটনা আগেও ঘটিয়েছেন।
বগুড়া জেলা যুবদলের সদস্য কামরুল হাসান ঝিনুক পাল্টা অভিযোগ করেন যে, তাকে বিতর্কিত করার জন্য জোবায়ের হাসান চক্রান্ত করছেন। ঝিনুক দাবি করেন, ‘আমার বড় ভাই কাঞ্চন কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাকে না জানিয়ে বণিক সমিতির সভা ডাকতে পারে না। এ সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না, কিন্তু আমাকে জড়িয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।’
এদিকে, বিকেলে যুবদল নেতা কামরুল হাসান ঝিনুকের বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রতিবাদে শেরপুর রোডের কানুছগাড়ি এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বগুড়া শহরের বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, মারধরের ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি অবগত এবং ভবিষ্যতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/একেবি

