রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

‘কাউয়া’ স্লোগান দিয়ে কাদেরের বাড়ির মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় ‘কাউয়া কাউয়া’ স্লোগান দিয়ে বাড়ির মালামাল খুলে নিচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়িটির দ্বিতল ভবন কাউয়া-কাউয়া স্লোগান দিয়ে বাড়িতে ঢুকে ভাঙা শুরু করে তারা ।


বিজ্ঞাপন


সরজমিনে দেখা যায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে কাদেরের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতালা ভবন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাঙা হয়। এর আগে ৫ই আগস্ট এ বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর একই সময়  তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনও ভাঙচুর করে এ বিক্ষুব্ধ জনতা। ভাঙচুর চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্টের পর কিছু দিন কাদের মির্জা ভবনটি পুনরায় সংস্কার করেন। দ্বিতীয় দফায় কাদেরের বাড়িতে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। তবে হামলা ভাঙচুরের সময় তাদের পরিবারের কেউ ছিল না। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কাদেরের পরিবারের সদস্য আত্মগোপনে রয়েছে।  

 বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জার ও তার বাহিনীর লোকদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা ভাঙচুর ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলা ভাঙচুরে সর্বস্তরের ছাত্র জনতা অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও যদি কোনো সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্টের আচরণ করেন, তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন