তুই বহুত বাইরা গেছত, যেকোনো সময় মাইরা তোর লাশ গোমতী নদীতে ফালাইয়া দেমু। তুই সাংবাদিক তাই তোরে নিয়া কুমিল্লার সাংবাদিকরা নিউজ করে। মামলা না তুললে লাশের অস্তিত্বও তোর পরিবার খুঁজেও পাইবো না। প্রশাসনকে আমরা পকেটে রাখি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা ধর্মসাগরের পশ্চিম পাশের রাস্তায় দু’টি মোটরসাইকেলে করে চারজন হেলমেট পরা লোক স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে এসব কথা বলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
শুভ্র জানান, আমি একটি কাজে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। পূর্ব দিকের গেট দিয়ে বের হওয়ার পর অল্প একটু দূরে গেলে তারা এসব হুমকি-ধামকি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
মানবাধিকার কর্মী শুভ্র জানান, জি আর (৪১/৮৫০) মামলার মূল আসামি আটজনকে গ্রেফতার ও অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই দু'টি বিষয় নিয়ে দুই মামলা করেছি। আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে আমি ইতোমধ্যে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব কোম্পানি কমান্ডার- ১১ সি পি সি ২, অধিনায়ক, কর্নেল জিএস, কুমিল্লা ডিজিএফ আই কুমিল্লা সেনানিবাস, যুগ্ম পরিচালক - এন এস আই কুমিল্লা জেলাসহ সবাইকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। আদালতের মামলার কপি, থানার এফআইআর কপি এবং কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নিরাপত্তা জনিত অনলাইন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সংযুক্তি দিয়ে বিশেষ আইনগত সুরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছি।
মঙ্গলবার রাতে এ ব্যাপারে মামলার আইও খাজু মিয়া জানান, এজহার নামীয় মামলার আসামিরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করার ফলে তাদেরকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। আশা করছি যে দ্রুতই তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারব।
বিজ্ঞাপন
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামিদেরকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করতে সচেষ্ট আছি। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার স্যারেরও নির্দেশনা দেওয়া আছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ