বাগেরহাটের রামপালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের গ্রাহকদের ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রামপাল শাখা ব্যবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মীর খান নুরুল আমিনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক হামিমা সুলতানা ও মাঠকর্মীর খান নুরুল আমিন দুইজন স্বামী ও স্ত্রী। তারা রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সমীরণ কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান মামলা দায়েযরের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রবাত দিয়ে জানান, আসামিরা সদস্য বহির্ভূত ঋণ প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ, ঋণ প্রদানকালে সদস্যদের সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে টাকা হস্তমজুত, কিস্তি থেকে টাকা নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করে। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে এবং তার স্বামী খান নুরুল আমীন মাঠ সহকারী হিসেবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, রামপাল শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। হামিমা সুলতানা ও তার স্বামী খান নুরুল আমিন যোগসাজশে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ দেওয়া বা ঢেউটিন দেয়ার কথা বলে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ছায়ালিপি সংগ্রহ করে সমিতির সদস্য না এমন ব্যক্তিদের নামে ভুয়া ঋণ সৃজন করে টাকা হস্তমজুত করে। হামিমা সুলতানা এককভাবে ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করে। খান নুরুল আমিন, মাঠ সহকারীর দায়িত্ব পালনকালে ঋণ বিতরণের সময় সদস্যকে স্বাক্ষর করিয়ে সদস্যকে আংশিক অর্থ দিয়ে বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করতেন। হামিমা সুলতানা শাখা ব্যবস্থাপক থাকাকালীন তিনি এবং তার স্বামী খান নুরুল আমিন এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক মাঠ সহকারী নুরুল আমিন রামপাল ও বাগেরহাটের মোট ২৩টি সমিতি থেকে ও ৫ জনের সঞ্চয়ী হিসাবে গড়মিলসহ মোট ৩৯৪ জন সদস্যের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যের জমা করা সঞ্চয় হতে ১ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ টাকা, ঋণের কিস্তি থেকে ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ২১৩ টাকা, ভুয়া ঋণ ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, ঋণ বিতরণকালে হস্তমজুত ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮০ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৭ আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া রামপাল উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন থেকে ভুয়া ঋণ দেখিয়ে মোট ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামি হামিমা সুলতানা ও তার স্বামী আসামি খান নুরুল আমিন পরস্পর যোগসাজশে মোট ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা আত্মসাৎ করে। তারা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সব রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং অধিকাংশ রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করে ফেলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
প্রতিনিধি/এসএস