বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক এক কর্মচারী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রানাকে অফিস চলাকালে জুতাপেটার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ববির পরিচালকের অফিসে (অর্থ ও হিসাব) এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার সময় শহিদুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতসহ অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন জানিয়ে অভিযুক্ত মতিউরের বিচার চেয়ে ববির রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় ববির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত জড়িতের বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত মতিউরকে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাস থেকে অপসারণ করেছে ববি উপচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন।
অভিযুক্ত কর্মচারী মতিউরের দাবি, ২০ জনকে চাকরি দেয়ার কথা ৩২ লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন শহিদুল। কিন্তু চাকরি বা সেই টাকা ফেরত দেননি তিনি। অন্যদিকে ভুক্তভোগী শহিদুলের দাবি, মতিউর কোনো টাকা পাবে না। কী কারণে তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটাল তা তার জানা নেই।
ভুক্তভোগী প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, মতিউর চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সেই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় মতিউরের বিরুদ্ধে ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর সে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটাল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত কর্মচারী মতিউর রহমান বলেন, শহিদুলের কাছে আমি ৩২ লাখ ৬০ টাকা পাই। সে ২০ জনকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে এ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু সে চাকরি বা টাকা কোনো কিছুই দেয়নি। পাওনা টাকা না দিয়ে উলটো আমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কারণ জিজ্ঞেস করতে আজ মঙ্গলবার অফিসে গিয়েছিলাম। তখন শহিদুল আমাকে ধাক্কা দিলে তাকে জুতাপেটা করেছি।
ববির একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনকালে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর জড়িত কর্মচারীর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার পর উপাচার্য মহোদয় ওই কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছেন। উপাচার্য মহোদয় দাফতরিক কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছেন, ফিরলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে ক্যাম্পাসে এমন ঘটনার অবতারণা ঠিক নয় বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস