বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছে। স্থানীয়রা গত কয়েকদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা নিয়ামুল কবিরের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। সম্প্রতি, শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের মদদপুষ্ট বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, নিয়ামুল কবির দলীয় সুপারিশে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে রয়েছে সাতটি মেহগনি গাছ কাটার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ, সরকারি বরাদ্দের পাঁচ লাখ টাকা কাজে না লাগিয়ে আত্মসাৎ, পুরানো আসবাবপত্র বিক্রি, শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানোর মাধ্যমে দশ শতাংশ কমিশন আদায়, বিদ্যালয়ের সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি ও ল্যাপটপ নিজের ব্যবহারে নেওয়া, স্কুলের দোকানঘর ভাড়া দিয়ে টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছে। ২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করে। অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবির সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং তার ছোট ভাই জুলফিকার রহমান টিটো পাকুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তারা স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতার সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনের জন্য হামলা চালায়। হামলার পর প্রধান শিক্ষক গা ঢাকা দেন এবং তিনি বর্তমানে ফোনে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করছেন না।
এদিকে, সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবী জানান, ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পক্ষ প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অন্য পক্ষ শিক্ষার্থীদের পক্ষে। তিনি বলেন, মানববন্ধনে হামলার খবর পাওয়ার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রতিনিধি/একেবি