উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। এতে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘনকুয়াশায় আছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ ছিল। সোমবার সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ। দিনের বেলায় সহসা সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ ছিল। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১ থেকে ১২ কিলোমিটার ছিল।
প্রতিনিধি/টিবি

