টাঙ্গাইলের আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
এই মামলায় কবির উদ্দিন এবং মোহাম্মদ আলী নামক দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মামলায় মোট ১৪ জন আসামি ছিল, এর মধ্যে ২ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে তার ভাইসহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নাসির উদ্দিন খান জানান, ‘এই মামলায় ২৭ জনের সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করেছিল। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি যে, তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছিল।’
টাঙ্গাইলের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাইদুর রহমান স্বপন জানান, ‘মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি, ফারুক আহমেদ নামে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধার গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছে উদ্ধার হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়, যারা পরে আদালতে আমানুর রহমান খান রানা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।
বিচার চলাকালে, আসামি আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও ২০১৪ সাল থেকে তার দুই ভাই বিদেশে অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং ২০১৭ সালে মামলার বিচার শুরু হয়।
এই মামলায় দুই আসামি—আনিছুর রহমান ওরফে রাজা এবং মোহাম্মদ সমির—কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।
প্রতিনিধি/একেবি

