‘আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা’

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) জেলা শাখার কমিটি গঠনের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ কে নতুন করে গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই দেশে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তদের প্রভাব রয়েছে। রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য শিক্ষিত মেধাবীদের রাজনীতিতে যুক্ত হতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে। এই তরুণদের নেতৃত্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে পরিবর্তনের বাহক হচ্ছে এই তরুণরাই।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ দুর্বল হওয়ায় তারা সঠিক কিংবা কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছি সেগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্র সংস্কারে পূর্বে উপদেষ্টা পরিষদেরও সংস্কার আনা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম খুন করেছে, সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। দল হিসেবে আওয়ামী লীগও অপরাধের সঙ্গে জড়িত। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতা

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, দেশে বিভিন্ন স্থানে এখনও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও সরকার ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না। যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার এসপি, ডিসি, ইউএনও ও ওসি বান্দরবন পাঠান, দেখবেন প্রশাসন কিভাবে তখন তৎপর হয়। একশরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল কিন্তু মাত্র ৩০ জনকে আটক করেছে, এটা নিয়ে হাইকোর্টও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।