ভোলা বাস টারমিনালে আবারও বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩টি সিএনজি আগুনে পুড়ে গেছে এবং আরও ৩টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান করতে দেখা গেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ভোলা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস র্টামিনালে ফের এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত রাতে টার্মিনালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাস চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে সিএনজি চালকদের৷ ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষে দুটি যাত্রীবাহী বাস ও পাঁচটি সিএনজি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা৷ এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাস, সিএনজি, টিকেট কাউন্টার ও দোকানপাট। আহত হয়েছে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস মালিক সমিতি।
ভোলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শরীফুল হক বলেন, রাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ পরে সকালে ফের সংঘর্ষ হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশকিছু টিম রয়েছে৷ সংঘর্ষের এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে