খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার ৫ নম্বর উল্টাছড়ি ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকার প্রায় চল্লিশ ফুট উঁচু টিলাতে বারোমাসিক তরমুজ চাষ হচ্ছে। টিলাতে তরমুজ খেতের ফলন দেখে আশপাশের গ্রামের যুবকরা বারোমাসিক তরমুজ চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। তরমুজের ফলন দেখে দুই চাষি আশার আলো দেখছেন।

বিজ্ঞাপন
তরমুজ চাষি মোস্তফা জানান, তিন মাস আগে ষাট শতক পতিত জায়গায় তরমুজের বীজ বপন করি। তিন মাসেই এখন পাহাড়ের চূড়ায় শোভা পাচ্ছে তরমুজ। যার মাঝে ছয় থেকে আট কেজি ওজনের রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক তরমুজ। বাকিগুলো তিন থেকে পাঁচ কেজি।
আর এক চাষি নুরুল ইসলাম জানান, পরীক্ষামূলক প্রথমবারের মতো চাষ করছি। সঠিক বীজ পাননি বলে আকারে ছোট-বড় হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের নিচে বাঁশের কঞ্চি দেওয়া রয়েছে যাতে পোকায় আক্রমণ করতে না পারে। এক লাখ টাকার মতো পুঁজি খাটাইছি। ফলন দেখে লাভবান হব বলে আশা করছি।

বিজ্ঞাপন
পানছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইব্রাহিম খলিল জানান, তরমুজ একটি স্বল্পকালীন ফসল। আশি থেকে ১১০ দিনের মাঝেই ফল সংগ্রহ করা যায়। তরমুজ গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে হলে একটি গাছে সর্বোচ্চ তিন থেকে চারটি ফল রাখাই উত্তম। বর্তমান সময়ে বাজারে তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

