হিমালয় সংলগ্ন হওয়ায় পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা পড়েছে। সেখানে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। স্থানীয়রা কনকনে ঠান্ডার কারণে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে সূর্যের দেখাও মেলেনি। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জেলা। তাপমাত্রা ওঠা-নামার মধ্যে রয়েছে। তবে মাঘের প্রথম সপ্তাহে ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল ৯টায় জেলার তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে তীব্র শীতে স্থবির জনজীবন
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। সেখানে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

