উপমহাদেশের কিংবদন্তি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজগঞ্জের কৃতীসন্তান মজলুম মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনালেখ্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ মওলানা ভাসানী কেন্দ্রের আয়োজনে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মওলানা ভাসানী কলেজ হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
স্ট্রিট এডুকেটর, ম্যানেজিং ওয়ার্কার সুধার সমাজকর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খোকনের সভাপতিত্বে ও সমাজকর্মী আবদুল আলীমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন, কোলকাতার ভাসানী চর্চাকেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা গবেষক, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার ভাসানী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সুইডেন-বাংলাদেশ ফোরামের রাজনীতিক নির্বাহী ড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান। ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান।
এসময় বক্তারা বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন।
মওলানা ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনও আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
প্রতিনিধি/এসএস