হিমালয়ের কোলঘেষা দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈতপ্রবাহে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। বিশেষ করে হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠা-নামা করছে। কয়েক দিন ধরে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে সকাল সকাল দেখা মিলছে সূর্যের।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও হালকা কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে রোদের দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ রোববার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার। এ জেলায় উত্তরের হিমেল বাতাসে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও গত কয়েক দিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ
