‘আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় এসে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়’

১৯৭৫ সালের পূর্বে দেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তারা তখনো সারা দেশে লুটপাট, ষড়যন্ত্র, হত্যা, গুম করে ক্ষমতায় টিকে ছিল এবং তাদের দুঃশাসনের ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা যখনি ক্ষমতায় আসে তখনি জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় ও দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঠাকুরগাঁও পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে পূর্বে দেশে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন। এছাড়াও তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৫ বছরে বিগত সরকার দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছিল। কিছুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করেছে। ছাত্র ও জনগণের আন্দোলনের ফলে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের মাঝে নতুন একটা সম্ভবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আজকে আমাদের সব থেকে বেশি প্রয়োজন ছাত্র ও জনগণের ঐক্য।

তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, সবার আগে পড়াশোনা করে ভালো ফল করা এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানো। সেই সাথে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার দিকে লক্ষ রাখতে হবে। জাতীয়তাবাদী দলের যে লক্ষ্য ও অর্জন সেই অর্জনকে আরও শক্তিশালী করে জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।

দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করবো না। আজকে সবখানে বৈষম্য হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের একটি সরকার যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।