মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলে, একটি শিল্প কারখানার নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালে সেন্টারিং ভেঙ্গে ভবন ধসে অন্তত ২০ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
পরে খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এছাড়া ধসে পড়া নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের নিচে কোনো শ্রমিক চাপা পড়েছেন কিনা সেটি নিশ্চিত করতে বিকেলে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, নির্মাণ শ্রমিক রিয়াজুল (৩২), নাইম (২০), মাহেদুল (২৪), মিন্টু (৩৫), সমুন (২৪), মামুন আলী (২৮), আবুবকর(২২), রাকিব (২৮), কামাল (৫০), মিরাজ (২২),আল আমিন (২২), রাজিউল (২২), মানিক (২৭), আজাদ (৩৫) সহ আরও বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় আহতদের অধিকাংশের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত নির্মাণ শ্রমিক সুমনসহ আরও বেশ কয়েকজন বলেন, হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি শিল্প কারখানার ভবনের নির্মাণ কাজ চলছিল। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের তারিখ ছিল। সকাল ৭টা থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন শ্রমিক ঢালাই কাজ শুরু করেন। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল এরপর দুপুরে হঠাৎ ভবনের সেন্টারিংসহ ছাদের বড় একটি অংশ ধসে পড়লে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
বিজ্ঞাপন
আহতদের মধ্যে আজাদ, রাজিউল, আল আমিন ও সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা হাসপাতালে চলছে।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এরপর আহত অবস্থায় প্রায় ২০ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ধ্বংস স্তুপের নিচে আর কোনো শ্রমিক চাপা পড়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। অভিযান শেষে হতাহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.মো. সোলাইমান জানান, দুপুরে দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে,বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে বাকি আহতদের চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এদিকে কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি আইনগতভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার ও গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ।
তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, প্রতিষ্ঠানটির কনস্ট্রাকশন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম।
প্রতিনিধি/ এজে
