পাবনার আটঘরিয়ায় জমি দখল নিয়ে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি প্রকৌশলী।
কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর, পুকুরের মাছ লুটসহ নানা ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন তিনি। তবে মামলাগুলোর কারণে অভিযুক্তদের প্রভাব ও হুমকির মুখে পড়েছেন প্রকৌশলী আলাউদ্দিন মোল্লা ও তার পরিবার। তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ভয়ভীতি সত্ত্বেও ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
বিজ্ঞাপন
আলাউদ্দিন মোল্লা, যিনি বিদ্যুৎ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী, আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের মৃত শামসুল হক মোল্লার ছেলে। অভিযুক্তরা একই এলাকার মিলন মোল্লা, হিরণ মোল্লা, আল-আমিন মোল্লা ও তাদের লোকজন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর চাচাতো ভাই এবং ১৯৯৪ সাল থেকে জমি দখল নিয়ে চলছিল বিভিন্ন দ্বন্দ্ব।
গত ৫ আগস্ট জমি দখলের জন্য নতুন করে চেষ্টা করে অভিযুক্তরা এবং ৭ আগস্ট আলাউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এর কয়েকদিন পর, আলাউদ্দিনের কাছ থেকে লিজ গ্রহণকারীকে উচ্ছেদ করে পুকুর দখল এবং মাছ লুট করা হয়। এ বিষয়ে লিজগ্রহণকারী মামলা করলে, হুমকি-ধামকি দিয়ে সেই মামলা প্রত্যাহার করানো হয়।
পরে আলাউদ্দিন মোল্লা নিজেই বাদী হয়ে দখল, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেন। ২০ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা আলাউদ্দিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। থানায় মামলার পর থেকে তারা আলাউদ্দিন ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমার স্ত্রী কলেজে শিক্ষকতা করেন এবং একমাত্র ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছেন। আসামিরা হুমকি দিচ্ছে, যদি আমরা মামলাগুলো প্রত্যাহার না করি, তাহলে তারা আমাকে, আমার স্ত্রী ও ছেলেকে মেরে ফেলবে। তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব করছে। আমি ও আমার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
বিজ্ঞাপন
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তদের অন্যতম প্রধান মিলন মোল্লা বলেন, ‘আমরা তাকে কোনো মারধর করিনি, কে করেছে তা আমরা জানি না। উনি আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার জানান, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তার স্ত্রীর একটি জিডি গ্রহণ করা হয়েছে এবং মামলার অভিযোগপত্র ইতোমধ্যেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি, অভিযুক্তরা আইনের আওতায় আসবে।’
প্রতিনিধি/একেবি