পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে চাঁদনী নামের এক তরুণী অনশন করেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে উপজেলার লেবুখালী গ্রামের প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজনের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই প্রেমিকা চাঁদনী।
বিজ্ঞাপন
অনশনরত প্রেমিকা চাঁদনী জানায়, চার বছর আগে স্থানীয় ইউনিভার্সিটি স্কয়রে সাজনের সঙ্গে দেখা, পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ চলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বছরের পর বছর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছে গত ৫ মাস যাবৎ সাজিন সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আজকের শুনতে পাই সাজিন অন্য মেয়েকে বিবাহ করতে বাড়ি এসেছে। আমি এ বাড়িতে আসার পর সাজিন আমাকে দেখেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাজনের ঘরের সামনে গেলে সাজনের মা, ফুফু ও বোন তিন জনে আমাকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। মিডিয়াকর্মী এসে উপস্থিত হলে তাদের মাধ্যমে মোবাইল ফিরে পাই। আমার মা থানায় অভিযোগ করেছেন।
চাঁদনী বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি।
অভিযুক্ত হাসান মাহমুদ সাজন মোবাইল ফোনে বলেন, চাঁদনী আমার ছোট বোনের বান্ধবী তাই প্রায়ই বোনের সঙ্গে বাড়িতে আসতেন। শারীরিক সম্পর্কের বিষয় তিনি অস্বীকার করে বলেন এটা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, মেয়ের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এস আই সাহিদকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/ এজে