চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজে সাত খুনের রহস্য উদ্ঘাটন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে নৌযান শ্রমিকরা।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের হরিণা ফেরিঘাট, পুরাণ বাজার, বড় স্টেশন মোলহেড ও লঞ্চঘাট এলাকায় বহু পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ নোঙর অবস্থায় দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণ বাজারে গতকাল রাত পর্যন্ত পণ্য উঠানাম করলেও আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকার রনাগোয়াল এলাকায় বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজ নোঙর অবস্থায় আছে। এসব জাহাজের মাস্টার, চালক ও আরও কয়েকজন সুকানি এবং খালাসি পাড়ে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
এ সময় তারা জাহাজে সাত খুনের বিচার এবং বিভিন্ন দাবিসহ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত নৌ-পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডাকা হয়নি।
কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট ফজলুল হক বলেন, চাঁদপুর নৌ সীমানায় আমাদের নিয়মিত টহল আছে। আগের চাইতে এখন টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, নৌযান শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছে। এটি তাদের বিষয়। আমরা চাঁদপুর নৌ অঞ্চলে সার্বিক নিরাপত্তা অব্যাহত রেখেছি।
প্রতিনিধি/ এমইউ