নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় গৃহবধূ খাদিজা হত্যা মামলায় পেড়লী ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওই গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মঈনুল ফকিরের স্ত্রী মুসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার চাঁচুড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কালিয়া থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এদিন বেলা ৩টার দিকে কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গৃহবধূ খাদিজা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা আব্দুল্লাহ মোল্যা বাদী হয়ে কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। পরে মামলার এজাহারনামীয় আসামি নারী ইউপি সদস্য মুসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কালিয়া উপজেলার পিরোলী গ্রামের রোমিও শিকদারের স্ত্রী খাদিজা তাদের প্রতিবেশী জুবেল শিকদারের সঙ্গে পরকীয়া ছিল। এর জেরে তার স্বামীর সঙ্গে কলহের এক পর্যায়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুই সন্তানের মা খাদিজা প্রেমিক জুবেল শিকদারের বাড়ি গিয়ে ওঠে। সেখানে অবস্থানকালে পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জুবেলের বড় ভাই জাহিদুল শিকদার খাদিজাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে খাদিজা গুরুতর আহত হলে জুবেলের পরিবারের লোকজন তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খাদিজা মারা যান।
পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে খাদিজার বাবার বাড়ির লোকজন যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া গ্রামে তাদের গ্রামে নিয়ে যাওয়ায় ঘটনাটি এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জানাজানি হয়। এরপর ওইদিন রাতেই ঘটনায় নিহত খাদিজার বাবা বাদী হয়ে মুসলিমা বেগমসহ ৬ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস