পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠী এলাকায় দরিদ্র কৃষক সেকান্দার আলীর রোপণ করা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে চলমান একটি মামলার মাঝেই এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষক সেকান্দার আলী জানান, তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে ৫৯ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। তবে জমির মালিকানা নিয়ে একটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২৩ ডিসেম্বর বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফয়েজ ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক ওই জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় সেকান্দার আলী পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ধান কাটার কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেও অভিযুক্তরা তা অমান্য করে ধান বিক্রি করে দেন।
সেকান্দার আলী আরও অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে মামলা করায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। গত কয়েকদিনে তার মা সুফিয়া বেগম এবং ভাইয়ের স্ত্রী মোসেদা বেগমকেও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, পূর্ব জৈনকাঠী মৌজার এসএ ৮৬১ ও আরএস ১২৮৮ খতিয়ানভুক্ত জমি ইমাম উদ্দিনের ওয়ারিশদের নামে রেকর্ড হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু ভুলবশত এটি রাজেশ্বর গংদের নামে রেকর্ড করা হয়। তার বাবা ২০১২ সালে এই বিষয়ে আদালতে মামলা করেন, যা এখনও বিচারাধীন।
বিজ্ঞাপন
সেকান্দার আলী প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমাদের বসতবাড়ি ছেড়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা অসহায়। তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
তিনি বলেন, এলাকা ছেড়ে না গেলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয় জৈনকাঠী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এ.বি.এম ফয়েজ ভূইয়া বলেন, নাসির হোসেন পিন্টু সরকারের কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছেন। এতে সে ধান কেটে নিয়েছে।
নাসির হোসেন ওই জমিতে ধান রোপণ করেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাসির ধান রোপণ করে নাই। বর্তমানে ধান মোস্তফা সরদারের কাছে জমা রাখা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এমএইচএম
