বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় রাতে পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজের ১০ দিন পর স্কুলছাত্রী তাসলিমা আক্তার মাহির (১০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে গুমের জন্য পুকুরে লাশ ফেলা হয়েছিল। এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া।
বিজ্ঞাপন
নিহত তাসলিমা আক্তার মাহি (১০) ওই গ্রামের সবুজ সরদারের মেয়ে এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের বাবা সবুজ সরদার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ মাহির সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী গোয়েন্দা সংস্থায় এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে ওই শিশুকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য পুকুরে ফেলা হয়েছিল।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস