হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের কাছাকাছি দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড়কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন এ জনপদের খেটে খাওয়া মানুষ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে কুয়াশার পরিমাণ কমে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসাবে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তর থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় তেঁতুলিয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া লোকজন পড়েছেন বিপাকে।
আজ সকালে কথা হয় তেঁতুলিয়া শহরের ভ্যানচালক আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল সকাল রোদ উঠছে। কিন্তু কনকন ঠান্ডা বাতাসের কারণে খুব শীত লাগতেছে। ঠান্ডার কারণে হাত-পা জড়ো হয়ে গেছে। কিন্তু উপায় নেই শীতের মধ্যেই কাজে বেরোতে হচ্ছে?’
বিজ্ঞাপন
এদিকে, তীব্র শীত ও আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়- কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের নিকটবর্তী জেলা হওয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুইদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল ৬টার দিকে তেঁতুলিয়া দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল শুক্রবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিনিধি/এএস