সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী মুসলিম হত্যার বেশির ভাগ আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী মুসলিম হত্যার বেশির ভাগ আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে
নিহত ব্যবসায়ী মুসলিম। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রকাশ্যে মুসলিম (৩৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কিলিং মিশনের প্রধান আসামিসহ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বেশির ভাগ আসামি। এদিকে মুসলিমের পরিবারের অভিযোগ, হত্যা মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি ও নানা ধরনের চাপ দিচ্ছেন আসামির পরিবারের লোকজন। ফলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সহজ সরল মুসলিম উদ্দিনের কোনো দোষ ছিল না। অনলাইনে জুয়া খেলা দ্বন্দ্বের মীমাংসায় বসা সালিশি বৈঠক শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাটিকাটা ব্রিজপাড় বাজারে এলে পূর্ব শক্রতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। হত্যা মামলায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুন জানান, মুসলিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাম উল্লেখ করা ১৫ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন মামলার ৩ নম্বর আসামি মর্তুজ আলী মন্ডল, ৫ নম্বর আব্দুল হালিম ও ৬ নম্বর শামীম মন্ডল। তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Tangail2

গত ৪ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার মাটিকাটা এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম রমজান আলীর বাড়িতে সালিশ শেষে ফেরার পথে মাটিকাটা ব্রিজপাড়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সুজন, রাকিব, মর্তুজ ও তার সহযোগীরা। হামলায় নিহত হন মুসলিম। আহত হন মুসলিমের বাবাসহ ছয়জন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক এজাহারভুক্ত আসামি হালিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর মুসলিম উদ্দিনের ভাই মুসা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সুজনকে প্রধান আসামি করে তার বাবা মর্তুজ আলী মন্ডল (৫২) ও সুজনের বোন জামাই রাকিব (২৫)-সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।


বিজ্ঞাপন


মুসলিম উদ্দিন উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের জহেরের ছেলে। তিনি বালু ও গাছ কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর