বার্ধক্যজনিত কারণে স্বামী নজির হোসেন আকন্দের (৭৫) মৃত্যু হওয়ার মাত্র চার ঘণ্টা পরই মারা গেছেন তার স্ত্রী রশিদা বেগমও। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের বাড়ি সদর উপজেলার হাট লক্ষীপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় নজির হোসেনের। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার স্ত্রী রশিদা বেগমের (৬৫)।
বিজ্ঞাপন
তালুক হরিদাস গ্রামের বাসিন্দা নজির হোসেন অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ছিলেন। অবসরের পর বাড়িতে কৃষি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত নসিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে। ৫ ছেলে, ৩ মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে ছিল তার সংসার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নজির হোসেন আকন্দের নাতি মো. হাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন নজির হোসেন। এক সপ্তাহ আগে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। হঠাৎ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, দাম্পত্য জীবনে দাদা-দাদির মধ্যে অনেক ভালোবাসা ছিল। এ কারণে একই দিনে তাদের মৃত্যু হয়েছে। দাদা-দাদির জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।
খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নওশা আকন্দ জানান, স্বামী নজির হোসেনের মৃত্যুর চার ঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর এমন মৃত্যু দুঃখজনক।
এদিকে, একই দিন এই দম্পতির মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এলাকার লোকজন তাদের একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন ওই বাড়িতে।
প্রতিনিধি/এজে