চাকরির প্রলোভনে অনৈতিক সম্পর্ক, বিয়েতে সম্মত না হ‌ওয়ায় হত্যা

লালবাগের ডিসি জানান, সাবিনা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার প্রায় এক মাস আগে একজনের মাধ্যমে চাকরির জন্য নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী সন্তান বাসায় না থাকায় নজরুল ইসলাম সাবিনা আক্তারকে গত ২ ডিসেম্বর রাতে বাসায় ডেকে নেন। সাবিনা আক্তার নজরুল ইসলামের বাসায় রাতে অবস্থান করেন। এসময় চাকরি ও বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সাবিনা আক্তার প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ভোর ৫টার দিকে নজরুল ইসলামকে শিল পাটার শিল দিয়ে মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত করেন ও মুখে বালিশ চাপা দেন। এর ফলে নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর নজরুল ইসলামের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে নজরুলের পুরুষাঙ্গ কেটে আলাদা করে নির্মমভাবে হত্যা করেন। গ্রেফতারকৃত সাবিনা আক্তারের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শিল পাটার রক্তমাখা শিল এবং ঘটনার দিন তার পরিহিত বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যদিকে চকবাজার মডেল থানা সূ্ত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকার ৬৬/১, আরএনডি রোডের এশিয়া টাওয়ারে ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে চকবাজার মডেল থানা পুলিশ। নজরুল ইসলামের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই তহিদুল ইসলাম ওরফে তাপস বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় সাবিনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

এমআইকে/এফএ