পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৫ ডিসেম্বর রাতে ইন্দুরকানি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এই মামলা করেন। মামলায় আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি কবির হোসেন বয়াতি, পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওন তালুকদার, পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জেপির আহবায়ক শাহীন হাওলাদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বজলুর রহমান মিন্টু, ইন্দুরকানি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোবারাক আলী হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি রিপন সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক লাভলু, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান ছগির, বালিপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চুসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৮ নেতাকর্মী।
মামলার এজাহারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার গাবগাছি এলাকায় গত ৭ মে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বোমা বিস্ফোরণ ও বাদীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, পত্তাশী ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচ ডিসেম্বর ২৮ জনকে জ্ঞাত এবং ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ইন্দুরকানি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতিনিধি/ইএ/জেবি