বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, নিজের দেশের বিদেশি মিশন ও দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বাদ দিয়ে দাদাগিরি করতে গিয়ে এখন নিজেই কূটনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নেয়ামত উল্লাহ নান্নুর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ সব রাষ্ট্রকে তারা অবহেলা করে নিজেরাই এখন বিপদগ্রস্ত। ধীরে ধীরে ভারত বিশ্বের মানচিত্রে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। ভারত সরকার ভুলে গেছে একটি দেশের সর্ম্পক হয় আরেকটি দেশের সঙ্গে, কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়। কিন্তু ভারত সরকার ও উগ্র হিন্দুরা হাসিনার পতনে মর্মাহত হয়ে বাংলাদেশের সব মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষের সুসম্পর্ক নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। চিরদিন এদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সবাই মিলেমিশে পাশাপাশি অবস্থান করেছে। এদেশে কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হানাহানি জীবনহানির ঘটনা ঘটে না।
দুলু বলেন, ভারতেই এসব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হানাহানি জীবনহানির ঘটনা ঘটে। তাই আমাদের দেশের সব মানুষকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। পতিত হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের দেশের ভেতর বাহির যেকোনো ষড়যন্ত্র সর্ম্পকে সজাগ থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র টের পেলে দেশের সব দলমত ধর্ম বর্ণের মানুষ এক হয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
দুলু বলেন, ভারতের উচিত হাসিনার শোক ভুলে ব্যক্তি নয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্র হিসেবে সর্ম্পক বজায় রাখা। কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়।
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন- দুলুর সহধর্মিণী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইসলাম আবুল ব্যাপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত নেতা নেয়ামত উল্লাহ নান্নুর ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এসএস