বরগুনা সদর উপজেলার ঘটবাড়িয়া এলাকায় সুজন (২১) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে আপন মামাতো ভাই রাতুল ওরফে শাওনকে ঢাকা থেকে গোপন সংবাদে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে বরগুনা নিয়ে আসে বরগুনা থানা পুলিশ। গ্রেফতার শাওন জাকিরতবক এলাকার স্বপনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক নিজ গ্রামের (যুইগ্যা) নিলুফা ফরাজী বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি নালা থেকে সুজনের মুখমণ্ডল স্যালাইনের পাইপ দিয়ে বাঁধা প্লাস্টিকের চালের বস্তা বন্দী অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত সুজনের বাবা বাদল ফরাজী তার ছেলেকে শনাক্ত করে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় এবং তাৎক্ষণিক থানায় খবর দিলে পুলিশ ও এলাকাবাসী মরদেহটি উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও জানা যায়, ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নম্বর কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া বাজারে জাকিরতবক গ্রামের দেলোয়ার ফরাজীর ছেলে আরিফকে (২২) এলাকার কিছু উগ্র লোক মারধর করে। মারধরকে কেন্দ্র করে আরিফের পরিবার ২০ আগস্ট সকালে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার খবর জানার পর আসামিরা ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটবাড়িয়া বাজারে দলবদ্ধভাবে এসে বাদী পক্ষের কাছে কেন মামলা করেছে জানতে চান। দুপক্ষের মাঝে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে এক পর্যায়ে তুমুল সংঘর্ষ ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা হয়। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে ২২ আগস্ট জাকিরতবক গ্রামের বাদল ফরাজীর ছেলে সুজন নিখোঁজ হন। পরে সুজনকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে দুদিন পর জাকিরতবক গ্রামের ইন্তাজ আলীর মেয়ে নিলুফা ফরাজি বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি নালার মধ্যে লাশটি দেখতে পায়। পরে সুজনের বাবা বাদল ফরাজী এসে লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে বরগুনা সদর থানায় এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার পরবর্তীতে তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ২২ আগস্ট জাকিরতবক গ্রামের বাদল ফরাজীর ছেলে সুজন নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলার মূলহোতা শাওনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে বরগুনায় আনা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস
