ভোলার দৌলতখান উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে এক নারীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগে হারুন শিকদার (ভণ্ড হারুন) গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ তাকে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্রেফতার করে এবং পরে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ নভেম্বর উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জমি নিয়ে বাবুল শিকদার ও তোফাজ্জল শিকদারের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় বাবুল শিকদারের নেতৃত্বে তার দলবল, যার মধ্যে হারুন শিকদারও ছিলেন, তোফাজ্জল শিকদারের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তোফাজ্জল শিকদার গ্রুপের কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বিজ্ঞাপন
তবে, সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে লিপি আক্তার নামের এক নারীকে নিয়ে। তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের একাধিক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা লিপি আক্তারকে বাড়ির উঠান থেকে ধরে হারুন শিকদারের ঘরে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। তার পোশাক টেনে খুলে তাকে বিবস্ত্র করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে, স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনার পর ১৭ নভেম্বর, লিপি আক্তারের স্বজন রুমানা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দাখিল করেন। আদালত পুলিশকে মামলাটি গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় এবং তদন্ত শুরু হয়।
গ্রেফতার হওয়া হারুন শিকদার ভুয়া কবিরাজ হিসেবে পরিচিত, স্থানীয়রা তাকে "ভণ্ড হারুন" বলে চেনেন। তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য চিকিৎসার নামে প্রতারণা করতেন।
এদিকে, মামলার অন্য আসামিরা এখনও আত্মগোপনে রয়েছে, তবে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সোহেল হাওলাদার জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ হাসনাইন পারভেজ জানিয়েছেন, পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রতিনিধি/এইউ