নাটোরের লালপুরে সম্পা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে করেন এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষোভকারীরা থানায় প্রবেশ করে বিক্ষোভ করেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লালপুর থানা গেটের সামনে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক এ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিজ্ঞাপন
এসময় মহাসড়কে দীর্ঘ ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
গৃহবধূ সম্পা খাতুন উপজেলার বাকনা পালপাড়া গ্রামের সোনারুল ইসলাম কালুর মেয়ে।
বিক্ষোভকারী জানান, গত রোববার রাতে উপজেলার দুড়দুড়িয়া গ্রামে স্বামী সুমনের বাড়ি থেকে গৃহবধূ সম্পার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জানিয়ে বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিক্ষোভ করেছিল সম্পার স্বজন ও এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে থানা চত্বরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করেন। পরে থানা থেকে বের হয়ে গেটের সামনের সড়কে বসে পড়ে প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ দায়ীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
বিজ্ঞাপন
সম্পার মা রোজিনা বেগম জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি৷ মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। এঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।
লালপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, গত ২ ডিসেম্বর পুলিশ খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেন। মৃত্যুর আসল রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ ময়নাতদন্তের নাটোর মর্গে প্রেরণ করেন।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে জানা যাবে এটা আত্মহত্যা না হত্যা। সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
প্রতিনিধি/এসএস