ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৪ শতক জমির মেহগনি বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
জোরপূর্বক গাছ কাটার বিষয়ে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে অবহিত করেন ভুক্তভোগী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ রক্ষা করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক মো. শাহাবুদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১ ডিসেম্বর) উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের গাবতলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ি গ্রামের গাবতলা পাড়ার মৃত সুরজত আলীর ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন (৬৫) পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত ১৪ শতক জমি ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। যেখানে মেহগনি গাছের বাগানসহ চারিদিকে লেবু গাছ ছিল। কিন্তু ৫/৬ দিন আগে একই গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মো. নজরুল (৪৩), মোতালেব মুন্সির ছেলে মোনতাজ (৪৫) ও মসলেম শেখের ছেলে মো. মিন্টু (৪০) ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে অবৈধভাবে ভোগদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন তাদেরকে জমির কাগজপত্র দেখানোর জন্য বললে, তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার সকাল ৭টার দিকে অভিযুক্তরা লোকজন নিয়ে গিয়ে জমির অর্ধশতাধিক মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসময় ভুক্তভোগী তাদেরকে বাধা দিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
অবস্থার বেগতিক দেখে শাহাবুদ্দিন পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও বাগানের অর্ধশতাধিক গাছের শেষ রক্ষা হয়নি।
ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি নিজের ভোগদখলে থাকলেও অভিযুক্তরা গায়ের জোরে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দিয়ে এই সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, আমার কোনো শক্তি বা লোকজন না থাকায় তারা জোরপূর্বক খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে এই জমির গাছ কাটার পাশাপাশি সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কবির মাতুব্বরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিনিধি/এসএস