হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় সবার আগে শীত নেমেছে পঞ্চগড়ে। নভেম্বরের শেষ ভাগে এসে জেঁকে বসা শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলাটি। কুয়াশায় পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও আজ সকালে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ছয়টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিতেন্দ্র নাথ বলেন, আজ সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাসে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
জানা যায়, এবার হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের এই জনপদে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। ঝলমলে রোদ থাকায় দিনে গরম অনুভূত হলেও বিকেল হতে না হতেই শুরু হয় শীতের অনুভূতি। রোদের কারণে দিন-রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামলেই পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের পরতে হচ্ছে শীতের ভারী কাপড়। রাতে ঘুমাতে হচ্ছে লেপ ও কম্বল মুড়িয়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তবে গত তিন দিন ধরে কুয়াশার পরিমাণ কমলেও হিমেল বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে খুব।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
এমআর