শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে নির্বাচন কার্যালয়ে ভোটার ফরম জমা দেওয়ার সময় দুই রোহিঙ্গা যুবক ও এক দালালকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু দাউদ বলেন, তাদের আচরণ, তথ্য ও কথা বলায় গড়মিল পেলে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তাদের কাগজপত্রের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা ধরা পড়েন। তখন আহসান উল্লাহও তাদের সঙ্গে ছিলেন। আটক তিনজনকে রাতে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বালুখালি ১১ নম্বর ক্যাম্পের আবুল ফকির আহমেদের ছেলে মো. ইয়াসিন (২১), দমদমিয়া গ্রামের মৃত সোনা আলীর ছেলে মো. হোসেন (২৮) ও গোসাইরহাট উপজেলার মধ্য দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত কালিম উদ্দিনের ছেলে মো. আহসান উল্লাহ (৫৮)।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াসিন নামের ওই যুবক ২০১৮ সালে মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তিনি আইয়ুব আলী সেজে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়ন থেকে জন্ম সনদ গ্রহণ করেন।
অন্যদিকে মো. হোসেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকা থেকে চারদিন আগে কক্সবাজার সদরে আসেন। এরপর তিনি দালাল আহসান উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করে নূর হোসেন সেজে শরীয়তপুরের নাওডোবা থেকে জন্ম সনদ গ্রহণ করেন এবং গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমানের সই করা নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে কোদালপুরে আসেন। পরে তারা দুজনই সোমবার বিকেলে আহসান উল্লাহর সঙ্গে ভোটার হওয়ার উদ্দেশে গোসাইরহাট নির্বাচন অফিসে যান।
বিজ্ঞাপন
এসময় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য জমা দেওয়া কাগজপত্র দেখে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ সন্দেহ করেন। তখন তাদের প্রশ্ন করা হলে একপর্যায়ে জেরার মুখে স্বীকার করেন তারা রোহিঙ্গা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। মামলার নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস