সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পোষ্য কোটা নিয়ে মন্তব্য করায় চটেছেন রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

পোষ্য কোটা নিয়ে কথা বলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের ওপর চটেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি সংগঠন আম্মারের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাবি অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


এর অনুলিপি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টাকেও দেওয়া হয়েছে। এতে সালাহউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এছাড়া এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে নতুন করে কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

শনিবার সকালে অফিসার সমিতির উদ্যোগে রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে একটি জরুরি সভা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি সংগঠন আম্মারের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সালাউদ্দিন আম্মার তার একটি ফেসবুক ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের হিজড়া বলেছেন, যা একটি শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড। তিনি আমাদের আত্মসম্মানে আঘাত দিয়েছেন। এর প্রতিবাদস্বরূপ ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি আবেদন করেছি। তিনি যদি এ বিষয়ে সমাধান দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

এ অভিযোগের বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ও সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। এই অযৌক্তিক কোটা এবারই বাতিল করতে হবে। আমার বক্তব্যটা ছিল প্রতীকী অর্থে এমন যে, যদি ওনাদের সন্তানেরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, মানসিক প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অথবা তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে থাকে - তাহলে তাদের কোটা দিতে আমাদের সমস্যা থাকবে না, তারা এটা স্বীকার করতে হবে। তারা এমন কথায় লজ্জিত হয়েও যদি এই পোষ্য কোটা থেকে বেরিয়ে আসে, তবে সেখানেই সার্থকতা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০% শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কিন্তু এই কোটার সুবিধা নিচ্ছে না। তাহলে সামান্য কিছু ব্যক্তির জন্য সবাই কেন এই বদনাম বয়ে বেড়াবে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করে। এরপর সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই কোটা বাতিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। তা না হলে অনশন কর্মসূচিতে বসবেন বলে ঘোষণা দেন।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর