কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় জুতার দরদাম নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে তাঁতারকান্দি ও গাইলকাটা গ্রামবাসীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক বাঙ্গি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ মে) রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়ে তা গড়ায় সোমবার (৩০ মে) দুপুর পর্যন্ত। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে ওই ব্যবসায়ী নিহত হন।
বিজ্ঞাপন
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি জানিয়েছেন।
নিহতের নাম সুজন মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার পূর্ব গাইলকাটা এলাকার মৃত এরশাদ মিয়ার ছেলে। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গাইলকাটা এলাকার রবিন নামে এক যুবক কুলিয়ারচর বাজারে জুতার দোকানে জুতা কিনতে যান। জুতা কেনার সময় দরদাম নিয়ে দোকানের কর্মচারী মনিরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির জেরে দোকানে কিল-ঘুষি মারেন দুজনই। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য কয়েকজন আসলেও তাদের কথা দুই পক্ষের কেউ রাখেনি। পরে কথা-কাটাকাটির জের ধরেই তাঁতারকান্দি ও গাইলকাটা গ্রামবাসীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষের মধ্য পড়ে সুজন মিয়া নামে এক বাঙ্গি ব্যবসায়ী নিহত হন। সংর্ঘষের সময়ে ৮-১০টি দোকান ও কয়েকটি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া যায়।
ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আরও জানান, সুজন মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
টিবি