স্বামী মাসুদ রানা ঢাকাতে গত শনিবার গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী জলি আক্তার ঐশীও (৩০) সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে যশোরে নিজের ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মাসুদ রানা যশোর সদর উপজেলা লেবুতলা ইউনিয়নের বীর নারায়নপুর গ্রামে আসাদ হোসেনের ছেলে। এবং জলি আক্তার ঐশী ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বেলতলা এলাকার মৃত মোস্তফা দেওয়ানের মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা লেবুতলা ইউনিয়নের বীর নারায়ণপুর গ্রামে মৃত মাসুদ রানা ঢাকাতে একটি চাকরি করতেন। পাশাপাশি তিনি একজন টিকটকারও। টিকটকের মাধ্যমে তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে এক সময়ে পরিণয়। এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বরয়ে তারা দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিভেদ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে শনিবার রাতে স্ত্রীর ঐশীর সঙ্গে রানার ফোনে ঝগড়াঝাটি হয়। মান-অভিমান করে শনিবার মধ্যরাতে মাসুদ ঢাকার বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
আরও জানা যায়, মাসুদ রানার সঙ্গে বিয়ের আগে স্ত্রী জলি আক্তার ঐশীর আরও একবার বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
নিহতের চাচা হাসান বলেন, আমার ভাইপো জলি আক্তার ঐশীকে প্রেম করে বিয়ে করার পরে আমরা জানতে পারি তার আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার তের-চৌদ্দ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তাছাড়া সে দীর্ঘ দিন ধরে সৌদি আরবে ছিল। তার পরেও আমার ভাইপো এবং বউমাকে মেনে নিয়েছি। কিন্তু বউমা আবার বিদেশে যেতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এসব বিষয়ে অভিমান করে ছেলে শনিবার রাতে ঢাকার মিরপুরের বাসাতে আত্মহত্যা করেন। আমরা ঢাকায় বসে জানতে পারি বউমা বাড়ির আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বিজ্ঞাপন
যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া জলিকে উদ্ধার করে ময়না তদান্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।
প্রতিনিধি/এসএস

