বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৪

জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বরগুনায় ৭ রিমান্ডের আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের  এসআইসহ ৪ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, বরগুনার তালতলী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম, অন্তর ও ফোরকান।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার ঘটবাড়ীয়া নামক এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আশরাফুর রহমান অন্তু (২০) বরগুনার তালতলী উপজেলার মালিপাড়া এলাকার আব্দুর ছত্তরের ছেলে ছগির মিস্ত্রি (৫০), ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম।

thumbnail_IMG-20241111-WA0014

পুলিশ সূত্রে ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, গত অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ বরগুনার তালতলী থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযুক্তরা তালতলী বন্দরের জিয়া মঞ্চ ও বিএনপি অফিস ভাঙচুরসহ কুপিয়ে বিনষ্ট করেন। বাদী পক্ষের জাকির হোসেন নামের একজনের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার অফিসে ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় মহড়া ও বিভিন্ন মানুষের ওপর হামলার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও অন্য কোনো মদদদাতা রয়েছে কিনা তা বের করতে আদালেতে আসামিদের রিমান্ড চাইলে অভিযুক্ত সাত জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে তাদেরকে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গেলে হাসপাতালে থাকা আসামিদের স্বজনরা আসামিদেরকে সিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশের ৪ সদস্য আহত ও হাসপাতালে কর্মরত ৫ জন স্টাফ আহতের ঘটনা ঘটে। পরে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানায় জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা কোনো আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

রাজশাহীতে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় আরও ১৪ আসামি গ্রেফতার

অভিযুক্ত রিমান্ডের আসামিরা হলেন, মিজানুর রহমান ওরফে টাচ মিজান (৩০), রাকিব (২৫), জাহিদ (২৫), খলিল (৩০), ইমরান হোসেন ওরফে টাচ ইমরান (২২), আরিফুর রহমান (২০) ও ইউসুফ (২৬)।

বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সাতজন আসামিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে স্বজন ও আসামিরা মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হামলাকারী তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হই। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তালতলী থানা পুলিশের সদস্যরা ৭ জন আসামিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে আসামি ও স্বজনরা সঙ্গে থাকা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ অবস্থায় হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন বাধা দিলে তাদের ওপরেও হামলা চালায় তারা। যেসব আসামিরা পুলিশের হেফাজতে ছিল তাদেরসহ ঘটনায় জড়িত স্বজনদের মধ্যে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ারধীন রয়েছে। এছাড়াও যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন