ছয় বছরের ছোট্ট শিশু মুনতাহা। গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে। এরপর পাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। প্রিয়মুখটির সন্ধান পেতে স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও পায়নি। অবশেষে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। শিশুটির সন্ধান পেতে জোর তৎপরতা চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটিও। মুনতাহার নিখোঁজের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।
শিশুটির সন্ধান দিতে পারলে দেশ–বিদেশ থেকে অনেকেই পুরস্কার ঘোষণা করেন। অবশেষে শিশুটির খোঁজ মিলল ঠিকই। তবে জীবিত নয়, নিথর দেহে বাড়ির পাশের পুকুর সন্ধান মেলে ছোট্ট মুনতাহার।
বিজ্ঞাপন
রোববার ভোরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুটির দেহ যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার শরীরে ছিল না প্রাণ। ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় শরীরে। গলায় রশি পেঁচানো ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনরা পাগলপ্রায় হয়ে গেছেন। সান্ত্বনা দিতে আসা মানুষও চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। ছোট্ট যে শিশুটি সবসময় বাড়ির আঙিনা আলোকিত করে রাখতো তার এমন নিথর দেহ দেখে সবাই হাউমাউ করে কাঁদছেন।
মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আওয়াল জানান, ভোর চারটার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষতচিহ্নও আছে। মরদেহ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মুনতাহার বাবা দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।
এমআর

