গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর যখমের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন। সোমবার সকালে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্ন পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম (৩০) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার পলিবটতলী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব এর ছেলে। অপর গুরুতর আহত তাসলিমা খাতুন (২৮) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আজিজুল হক এর স্ত্রী। অভিযুক্ত আজিজুল হক (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করছেন। কাজ করতেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আশরাফুল ও আজিজুলের স্ত্রী তাসলিমা একই কারখানায় চাকরির করতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে পরকীয়ার সম্পর্ক। পরকীয়ার বিষয়টি স্বামী আজিজুল হক জানতে পেরে তাদেরকে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি স্ত্রীকে ওই কারখানায় চাকরি করা থেকে বিরত রাখেন। সোমবার সকালে বাসায় দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দুজনকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম। এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফুল মারা যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত আশরাফুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া গুরুতর আহত ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
নিহত আশরাফুল ইসলামের শ্যালক আশরাফুল আলম বলেন, আনুমানিক সাতবছর যাবৎ দুলাভাই আমার বোন ফাতেমাকে নিয়ে শ্রীপুরে থাকেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে আনামনি নামে দুইবছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুলাভাই চন্নাপাড়া গ্রামে এসএস ফ্যাশন নামে একটি কারখানা পরিচালনা করেন। আজ দুপুরে স্থানীয়রা ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে আজিজুল হকের বসতবাড়ির উত্তর পাশের পাকা ঘরের ভেতর মেঝেতে দুলাভাইয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/একেবি

