সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গাজীপুরে তুসুকা গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজীপুরে তুসুকা গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ সাঁটিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন


নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার থেকে শ্রমিকদের একটি দল কিছু অজ্ঞাতনামা বহিরাগত সঙ্গে নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনি ধর্মঘট শুরু করে। এমন পরিস্থিতি শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্ধ কারখানাগুলো হলো- তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।এছাড়া জিরানী বাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ডরিন গার্মেন্টস নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা।

কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ্রমিকরা সকালে হাজিরা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে কারখানার প্রধান গেটে এসে জড়ো হন। এরপর অস্থিরতা সৃষ্টি করে। কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেও তারা তা অমান্য করেন। শ্রমিকদের একটি অংশ অস্থিতিশীল আচরণ প্রদর্শন করে, যা দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং মারামারির মতো অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ড শ্রম আইনে অবৈধ ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ডে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সম্পত্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় তুসুকা গ্রুপ বাধ্য হয়ে ৩ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে কারখানাগুলোর কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে তুসুকা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং পুনরায় কাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হলে কারখানা পুনরায় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।


বিজ্ঞাপন


শ্রমিকদের অনেকে দাবি করেন, তারা হাজিরা বোনাস, নাইট বিল, টিফিন বিলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে দাবি উত্থাপন করেছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব বলেন, শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করতে পারেনি। যে কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দিয়েছে।

কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল কিছু কারখানায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। যে কারণে কারখানা শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, গাজীপুরের জিরানী বাজার এলাকায় ডরিন গার্মেন্টস কারখানায় কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা । এসময় তারা চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জিএমপির কোনাবাড়ি জোনের সহকারি উপকমিশনার সুবীর কুমার সাহা বলেন, রোববার সকাল ৯টার দিকে জিরানী বাজার এলাকায় ডরিন গার্মেন্টস কারখানায় কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবিসহ বিভিন্ন দাবি করে আন্দোলনে নামে। এক পর্যায়ে তারা চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ওই মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও পরে আবার তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। বিভিন্ন সময়ে সড়ক অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর