সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিক দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত তিনজন হলেন- জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এমদাদুল হক মোল্লা, সদস্য হোসেন আলী ছোট ও ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে শেরপুর জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম জুন ঢাকা মেইলকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম জুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শ্রমিক দল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে সদ্য ঘোষিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঝিনাইগাতী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম, কাংশা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলামকে মারধর করেন সদ্য বহিষ্কার সদস্য সচিব এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থক। এসময় কমিটির সদস্য নুর ইসলাম মেম্বারের মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন শুক্রবার সকালে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদকে মারধর করে এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থকরা। পরে বিকেলে সদ্য বহিষ্কার সদস্য সচিবের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে এমদাদুল হক মোল্লার মুঠোফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।
উপজেলা শ্রমিক দলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস