মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পিরোজপুরের আমড়ার সাফল্যের গল্প

জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম

শেয়ার করুন:

পিরোজপুরের আমড়ার সাফল্যের গল্প

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা বর্তমানে দেশের কৃষি মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। এই অঞ্চলটির মিষ্টি ও সুস্বাদু আমড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রায় শত বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এই আমড়া, যা এখানকার কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক পণ্য।

এবছর, উপজেলার আটঘর, কুড়িয়ানা, জলাবাড়ী ও সমুদয়কাঠি ইউনিয়নে ২৯৩ হেক্টর জমিতে আমড়ার চাষ হচ্ছে। কৃষকরা গড়ে প্রতি হেক্টরে ১৫ দশমিক ৩৮ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদন করেছেন। মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৫০৭ মেট্রিক টনে। এই সফল উৎপাদন এলাকার কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


পিরোজপুরের আমড়া চাষে যুক্ত রয়েছে প্রায় তিন হাজার ৩৮৯ কৃষক, এবং এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ শ্রমিকরা দিনে ৬০০-৮০০ টাকা, এবং নারী শ্রমিকরা ৪০০-৫০০ টাকা মজুরি পান। তারা সকালে বাগান থেকে আমড়া সংগ্রহ করে স্থানীয় হাটে নিয়ে আসেন।

বর্তমানে আমড়ার বাজারদর মণপ্রতি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে চলাফেরা করছে। ঢাকার পাইকাররা এখান থেকে হাজার হাজার মণ আমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সফল আমড়া চাষে কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘এ বছর ফলন ভালো হলেও আমড়ার সাইজ ছোট। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে আমাদের পরিবহন খরচ কমে যাবে এবং লাভ বাড়বে।’

পদ্মা সেতুর হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরা দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে পারছেন, যা পূর্বে তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা ছিল। ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন জানান, ‘এখন দিনের মধ্যে আমড়া কিনে সেদিনই ঢাকায় পৌঁছাতে পারি।’


বিজ্ঞাপন


amra

পিরোজপুরের আমড়া কেবল একটি ফল নয়, এটি এখানকার কৃষি অর্থনীতির একটি প্রাণবন্ত অংশ, যা ভবিষ্যতে আরও সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। সঠিক পরিকল্পনা ও উন্নত অবকাঠামোর মাধ্যমে এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাষিরা এবং ব্যবসায়ীরা একত্রে কাজ করে চলেছেন।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর