খুলনায় হাসিবুর রহমান নিয়াজ নামে এক কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট রোমানা তানহা জানান।
বিজ্ঞাপন
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন—সৈকত (৩২), মেহেদী হাসান রাব্বি (২২), রওশন আনিজি অন্তু (৩৩), সাজ্জাদ হোসেন (২২), ইমদাদুল ইসলাম হৃদয় (২২), আরিফ (২৯), মো. মুন্না (২৩), রফিকুল হাসান শাওন (২৭), সাইফুল ইসলাম (২৬), মোস্তাক আহমেদ (২৭), মিঠাই হৃদয় (২৭), ফাইম (২২), রুবেল (২৫), মিজানুর রহমান (২৮), সবুজ (২৫), আরাফাত হোসেন (৩০), আশিকুর রহমান তুষার (২৬), রাব্বী ওরফে (২৬), ইয়াসির রাব্বী ওরফে নাটা জুয়েল (২৬), সাকিব শেখ (২৩) ও মুহিত মুনতাসির ইথুন (১৫)।
সাজার পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন-তুষার (২৪), রায়হান (২৩), নুরু হাওলাদার (৩৫), নাঈম (২৬) ও সালমান (২০)।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৯ অগাস্ট রাতে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক-সংলগ্ন ক্রিয়েটিভ কার্টস অ্যান্ড কফি হাউসের মধ্যে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসিবুর রহমান নিয়াজকে খুন করে। তিনি খালিশপুর হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
নিয়াজকে বাঁচানোর জন্য তার দুই বন্ধু জোবায়ের ও রানা এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় নিয়াজের বাবা তৈয়্যেবা কলোনির বাসিন্দা ও মিল শ্রমিক মো. হাবিবুর রহমান পরদিন বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী স্বপন কুমার দাস বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ অগাস্ট তদন্তকারী এসআই মিজানুর রহমান ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর একই আদালতে চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে আদালত তা আমলে নিয়ে বিচার শুরু করে।
এ মামলায় ২৬ আসামির ১৬ জন কারাগারে ছিল। বাকিরা পলাতক। সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৭ জন। আর তিন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান স্বপন।
মামলার বাদী নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল একাধিক আসামির ফাঁসি হবে। কিন্তু তা হয়নি। সে কারণে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’
প্রতিনিধি/একেবি
