নাটোরের লালপুরে আজিমনগর রেলস্টেশন থেকে আব্দুলপুর জংশন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের ক্লিপ চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন।
তবে এ ঘটনায় গত দুই মাসেও থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রেললাইন দিয়ে ট্রেনে চলাচল করেছে হাজার হাজার যাত্রী।
আজিমনগর স্টেশন থেকে আব্দুলপুর জংশন মধ্যবর্তী ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক ক্লিপ শূন্য দেখা গেছে। এসব জায়গার ক্লিপের গোড়ার অংশ ভাঙা বা কাটা রয়েছে। এসব ক্লিপ রাতের আঁধারে প্রতিনিয়তই চুরি হচ্ছে বলে জানান রেললাইনের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ।
রেললাইনের আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন রাতে হাতুড়ি দিয়ে স্লিপার ভেঙে এবং ব্লেড দিয়ে কেটে এসব ক্লিপ চুরি করে নিয়ে যায়। যার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ফলে আমরাও পরিবার নিয়ে শঙ্কায় থাকি। এ ব্যাপারে যথাযথ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে চুরি অনেক অংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ ঢাকা মেইলকে বলেন, গত ১৫/২০ দিনে ক্লিপ চুরির ঘটনা কেউ অবহিত করেননি। এর আগে একাধিকার ক্লিপ চুরির ঘটনায় রেলওয়ে থানা পুলিশকে অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে জিআরপি থানা পুলিশকে অবহিত করা হবে। তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি এ থানায় দুই মাস হলো যোগদান করেছি। ক্লিপ চুরির বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
প্রতিনিধি/এসএস