ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজসেবক মো. তাজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে কুমিল্লা মডার্ণ হসপিটালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার ও সনদ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
তাজুল ইসলাম কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হাজতখোলা এলাকার শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তার বয়স ৯০ বছরেরও বেশি ছিল। তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ছেলে অধ্যাপক মো. জামাল নাছের।
তিনি জানান, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তাজুল ইসলাম শিকারপুরি হাজতখোলা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শিকারপুর সেকান্দর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া লালমাই কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের বীর সেনানী ছিলেন। কুমিল্লা নগরীর ভাষা চত্বর শহীদ মিনারে আমার বাবা তাজুল ইসলামের নাম রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ
এলাকাবাসী জানান, শিক্ষা বিস্তারে মরহুম তাজুল ইসলাম ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এলাকার অসহায় মানুষের জন্য তার দানের হাত সবসময় প্রসারিত ছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে।
পরিবার সূত্রে আরেও জানা গেছে, রোববার বিকাল তিনটায় হাজতখোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের প্রথম জানাযা এবং বিকেল পাঁচটায় শিকারপুর সেকান্দর আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

