নীলফামারীর ডোমারে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী মা হওয়ার ঘটনায় তহিদুল ইসলাম নামে মামলার সাড়ে চার মাস পর একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডোমার থানা এসআই রুস্তম আলী ও এএসআই আব্দুল হান্নান সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমনিহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তবর্তী ষোলঘড়িয়া মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা গ্রামের সনাতন ধর্মের বাদ্যকার সম্প্রদায়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে প্রতিবেশী মৃত ছকমল আলীর ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪৩), মৃত দাতুরামের ছেলে জলধর রায় ভুচলু (৫০) ও মৃত মেনাজ উদ্দিনের ছেলে বছির উদ্দিন (৫৫) ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের ভুট্টা ক্ষেতে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এবং পরবর্তীতে ঘটনার ব্যাপারে কাউকে না বলার জন্য ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষণকারীরা।
কিছুদিন পর ছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন আসলে,সে তার মাকে ঘটনার বিবরণ দেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গর্ভবতীর বিষয়টি নিশ্চিত হলে ৩১ মে পরিবারের লোকজন উপস্থিত হয়ে ডোমার থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের ছাত্রীর বাবা। এভাবে দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৩০ আগস্ট ছাত্রীটি এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা। ধর্ষণ মামলার সাড়ে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ডোমার থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জের তৎপরতায় এক নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার তহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

