বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

১৫ লাখ টাকা দাবি করে তিন ব্যক্তিকে চিঠি দিল সর্বহারা

জেলা প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

১৫ লাখ টাকা দাবি করে তিন ব্যক্তিকে চিঠি দিল সর্বহারা

নাটোরের গুরুদাসপুরে তিন ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে বাড়িতে চিঠি দিয়েছে সর্বহারা পার্টির সদস্যরা। এ ঘটনায় উত্তম কুমার কুণ্ডু ও সোহেল আনোয়ার গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রোজী মোজাম্মেল কলেজের সংলগ্ন এলাকায় তিন ব্যক্তির বাড়ির গেটে এই চিঠি দেন।


বিজ্ঞাপন


চিঠি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুণ্ডু, মকিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার ও ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার।

আরও পড়ুন

পিরোজপুরে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ

‘সর্বহারা’ শিরোনামে ওই চিঠিতে লেখা হয়- ‘আশাকরি মহান আল্লাহর দোয়ায় ভালোই আছেন। দোতলা বাড়ি, ছেলে, বউ সব মিলিয়ে ভালো। আমরা ভালো নাই। বছরের বেশির ভাগ সময় জেলে থাকি। আর যে বাকি সময় বাইরে থাকি, সেটুকু সময় গরিব দুঃখীদের সাহায্য করি। আপনাকে পাঁচদিন সময় দেওয়া হলো। এই পাঁচ দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে রাখবেন। তাছাড়া আপনার ছেলেকে জবাই করে মাথা পাঠিয়ে দেব আপনার বাসায়। পুলিশ কিংবা আইনের যেকোনো বাহিনী এক বছরের মধ্যে আমাদের ধরতে পারবে না। ততদিনে আপনার ছেলের গলা কাটা জবাই করা লাশ হার হয়ে যাবে। টাকা কোথায় কীভাবে দিবেন আমরা জানিয়ে দিব। (সর্বহারা)।’

সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুণ্ডু জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় একটি খাম দেখতে পান। সেই খাম খুলে দেখেন সর্বহারা শিরোনামে একটি চিঠি তাকে ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে। পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে তারা। না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এই প্রথম তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


crime

ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার জানান, তিনি চিঠি পাওয়ার পরপরই থানা পুলিশকে অবগত করেছেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার জানান, তিনি ও তার পরিবার বেশ আতঙ্কিত চিঠি পাওয়ার পরে। এখনও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেননি। তবে অবগত করবেন বলে জানান। তার কাছেও পাঁচ লাখ টাকার দাবি করা হয়েছে পাঁচদিনের মধ্যে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, কিছু মাদকসেবী ও চোর ব্যক্তিরা এসব কাজ করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছি। চুরি করতে না পেরে এ কৌশল ব্যবহার করেছে তারা। দেশে কোনো সর্বহারা নেই। অতি দ্রুত এ চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে এ কর্মকর্তা বলেন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর